রোজাদাররা রোজা রেখে করোনায় সংক্রমিত কম হন বলে গবেষণায় জানা গেছে। এমন তথ্য দিয়েছে ইউরোপের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমসিবি।
সূত্রমতে, পবিত্র রমজান মাস ইতালিতে পালিত হচ্ছে গভীর ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মাধ্যমে। লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন মানুষের মাঝে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পবিত্র রমজান পালনে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার রমজানের দ্বিতীয় জুম্মায় দেশটির প্রায় ৮ শতাধিক মসজিদে ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।
রোজাদারদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ একেবারেই কম। এমন তথ্য দিয়েছে ইউরোপের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমসিবি। আর এ তথ্যের উপর বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করেছে আলজাজিরা ও বিবিসি।
এমন তথ্য যখন প্রকাশ পায় তখন সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র সিয়াম পালনের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায় শতভাগ। যেমনটা ঘটেছে ইতালিসহ সমগ্র ইউরোপে।
লকডাউনের বন্দী জীবনে মানুষের যেন একটু বেশিই আগ্রহ ধর্ম-কর্ম, নামাজ ও রোজার প্রতি। এতে করে রমজানের দ্বিতীয় জুম্মার দেশটির মসজিদগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। প্রতিটি মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় একাধিক জুম্মার নামাজের
জামাত। মসজিদের ভিতর পেরিয়ে বারান্দা ও পাশের খেলা মাঠেও মুসল্লিদের সালাত আদায় করতে দেখা যায়। জুম্মার নামাজে সামিল হতে পেরে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
শুক্রবার দুপুরের পর মসজিদগুলোতে ধর্মীয় বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় পবিত্র জুম্মার নামাজের প্রস্তুতি। ইমাম সাহেবদের খুতবা পাঠের পর শুরু হয় পবিত্র জুম্মার নামাজ। নামাজ শেষে মুসল্লিরা মুসলিম উম্মাহ ও সমগ্র পৃথিবীর শান্তির জন্য হাত তুলে মোনাজাত করেন। অনেকেই বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির জন্য মোনাজাতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সকলের মুখে উচ্চারিত হয় করোনামুক্ত আগামী বিশ্বের স্বপ্ন।
উল্লেখ্য, খ্রিস্টান ধর্মের আদিভূমি ইতালিতে ইতালি সরকার চলতি বছর পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে খুলে দেয় মসজিদগুলো। আর এতে করে পবিত্র রমজানের তারাবীহর নামাজও মসজিদে পালন করতে সক্ষম হচ্ছে সেখানে অবস্থানরত মুসলিমরা। তবে করোনার যে ঢেউ ইতালিতে সেটি এখনও রোজাদারদের তত ছুঁতে পারেনি।